• Today: November 21, 2024

প্রাকৃতিক অক্সিজেন রক্ষা দিবসে সাতমসজিদ রোডে নির্বিচারে গাছ কাটার প্রতিবাদে গ্রীন ভয়েস এর ছাত্র-যুব সমাবেশ।

০৭ মে ২০২৩  রবিবার বিকেল ৫:৩০টায় গ্রীন ভয়েস এর উদ্যোগে সাত মসজিদ রোডে  প্রাকৃতিক অক্সিজেন রক্ষা দিবস- ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে সাতমসজিদ রোডে নির্বিচারে গাছ কাটার প্রতিবাদে এক ছাত্র-যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গ্রীন ভয়েস এর প্রধান সমন্বয়ক জনাব আলমগীর কবির সভাপতিত্বে গ্রীন ভয়েস এর সহ-সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির সুমন এর সঞ্চালয়নায় ছাত্র-যুব  সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান,নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক মামুনুর রাশিদ, সাবেক ছাত্রনেতা লেখক,কলামিস্ট রুস্তম আলী খোকন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক  মিহির বিশ্বাস,নারী পক্ষের শিরিন আক্তার, সাতমসজিদ রোড গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজীব, জলবায়ূ  পরিবর্তন নীতি বিশ্লেষক জাকির হোসেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) এর নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. মাহবুব হাপসেন ও ইবনুল সাঈদ রানা,পরিবেশ বীক্ষণ এর মাহমুদা দীপা, ছাত্র ইউনিয়ন এর তামজীদ হায়দার চঞ্চল,উন্নয়ক কর্মী ফজিলা খানম, রাজনৈতিক কর্মী মনীষা মজুমদার গ্রীন ভয়েস এর কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ইউনিটের প্রতিনিধিবৃন্দ  এবং এলাকাবাসী। 

বক্তব্যে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, যে সিটি করপোরেশন গাছের মর্ম বোঝে না, গাছের মূল্য বোঝে না, সেই সিটি করপোরেশন আমাদের না।

সভাপতির বক্তব্যে জনাব আলমগীর কবির বলেন, ৭ মে - প্রাকৃতিক অক্সিজেন রক্ষা দিবস। দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে বৃক্ষ রক্ষায় সচেতন করা। পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা  জানানো।  বৃক্ষ রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর মে মাসের ০৭ তারিখ পালন করা হচ্ছে প্রাকৃতিক অক্সিজেন রক্ষা দিবস।

২০২১ সালের ৭ মে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েস,পরিবেশবিদ, নগরবিদ, প্রকৃতিপ্রেমীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটার প্রতিবাদ জানিয়ে ছিলেন। গাছ কেটে খাবারের দোকান বা অন্যান্য স্থাপনা তৈরির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। 

আন্দোলনের ফলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধ করে রেস্তোরাঁ/দোকান স্থাপনের কার্যক্রম বাতিল করা হয়। সেই দিনের সেই সমাবেশ থেকে গ্রীন ভয়েস এর উদ্যোগে ৭মে কে প্রাকৃতিক অক্সিজেন রক্ষা দিবস ঘোষণা করে তা প্রতিবছর পালন করার ঘোষণা দেওয়া হয়। বাংলাদেশে ২০২২ সাল থেকে এ দিবস পালিত হচ্ছে।

নগরবিদদের দেওয়া হিসাব বলছে, প্রতিটি বড় শহরে ২০ শতাংশ সবুজ স্থান থাকা প্রয়োজন। কিন্তু কাগজে-কলমে নতুন ঢাকায় আছে ১২ আর পুরান ঢাকায় ৫ শতাংশ। বাস্তবে তার পরিমাণ আরও কম।

সাম্প্রতিক সময়ে আপনারা অবগত আছেন কোনোভাবেই ধানমন্ডি সড়কে গাছ কাটা থামছে না। ধানমন্ডি সাত মসজিদ সড়কের বহু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে এবং আরো গাছ মৃত্যুদন্ডের আতংক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নিয়োগকৃত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সাতমসজিদ সড়কের গাছ কেটে সড়কদ্বীপ ও সড়ক বিভাজক উন্নয়নের কাজ করছে। ‘সাতমসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলনের’ ব্যানারে সাতমসজিদ সড়কসহ ঢাকার সকল সড়কের গাছ রক্ষার দাবি জানিয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। 

সমাবেশ থেকে নিন্মোক্ত দাবি সমূহ উথাপন করা হয় :

01.অবিলম্বে গাছ কাটা বন্ধ করে দ্রুত কাটা গাছের স্থানে দেশীয় প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করতে হবে 

02.সড়ক বিভাজকের গাছ রেখেই সড়কদ্বীপের উন্নয়ন করতে হবে।

03 উন্নয়নের নামে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করতে হবে ,পরিবেশ ধ্বংস করে আমরা উন্নয়ন চাই না