গ্রীন ভয়েস এর প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবির সভাপতিত্বে এবং সহ-সমন্বয়ক শাকিল কবির এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ আবু সেলিম, গ্রীন ভয়েস এর সহ-সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম রাতুল ও ফাহমিদা নাজনিন তিতলী, কার্যনির্বাহী সদস্য স্বপন মাহমুদ, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক আশিকুর রহমান জিম, গ্রীন ভয়েস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক কানিজ কুররাতুল আইন, গ্রীন ভয়েস ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সংগঠক নুশরাত ইমরোজ তিষা, গ্রীন ভয়েস বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ শাখার সংগঠক রাফিকা ইসলাম রিতু, গ্রীন ভয়েস তেজগাঁও কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার কবির হৃদয়, গ্রীন ভয়েস সরকারি টিসার্স ট্রেনিং কলেজ শাখার সভাপতি রেজুয়ান হোসেন, গ্রীন ভয়েস ঢাকা কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমলাক হোসেন, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ শাখার আহ্বায়ক রায়াতুল ইসলাম রিটু প্রমুখ। এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গ্রীন ভয়েস এর বিভিন্ন বিশ্বাদ্যালয় ও কলেজ শাখার সদস্যগণ।
সভাপতির বক্তব্যে আলমগীর কবির বলেন, বিতাড়িত আওয়ামী সরকারের গৃহীত সুন্দরবন বিনাশী রাপমপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে সুনদরবনের চরিত্র বিনষ্ট হয়েছে। বনের প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট হয়েছে। এই বনের সাথে যাদের জীবন জীবিকা জড়িত তারা আজ মানবেতর দিনাতিপাত করছে। নদী ও খালগুলোতে মাছ পাওয়া যায় না, এলাকাটা সবসময় ধোয়াচ্ছন্ন থাকে, অত্রএলাকার গাছের পাতার উপর ছাইয়ের স্তর পড়ার ফলে গাছ জীবন চক্র ভিষণভাবে বাধা গ্রস্থ হচ্ছে। মাওয়ালীরা মধু পায়না, মাছের প্রজনন নষ্ট হয়েছে, বন্যপ্রাণীর সংখ্যা অনেক কমেছে। জলবায়ুর বিরুপ আচরণ দেখা দিয়েছে অতি গরম অনুভূত হচ্ছে।
সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ আবু সেলিম বলেন, পৃথিবীর ব দ্বীপ আমাদের এই বাংলাদেশ। হিমালয়ের মিঠা পানির ভাটির অঞ্চলে সমুদ্রের তীরে গড়ে ওঠা প্রকৃতির প্রাকৃতিক পরিবেশে অন্যতম অপরুপ সুন্দর এই সুন্দরবন। সুন্দরবনের মোট আয়তন ১০০০০ বর্গ কিলোমিটার তার মধ্যে ৬৫১৭ বর্গ কিলোমিটার বাংলাদেশের মধ্যেই যা ৬৬% বাকিটা ভারতে। এই বনে ৩২৫ রকমের গাছ পালা তৃণলতা যার মধ্যেই গাছের শ্বাসনালী বিশ্বের মধ্যে অন্যতম যা কোথাও দেখা যা যায়না। আমরা নানান কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক পেশী শক্তির দখলবাজ অতি লোভের নিজেদের স্বার্থের কারণে এই বন ধ্বংস করেই চলেছি। এর মধ্যে অন্যতম রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ এর ফলে সুন্দরবনের পরিবেশ আজ ধ্বংস ও হুমকীর মুখে সাথে বনের পাশে কল কারখানা নির্মাণ। এটি দেশের বড় সম্পদ ও অক্সিজেনের ফুসফুস নামে পরিচিত এই বন দিনে দিনে ধ্বংস হোক তা চাইনা। সুন্দর বন রক্ষা করতেই হবে আমাদের বাঁচার জন্য।
তরিকুল ইসলাম রাতুল বলেন, সুন্দরবন ধ্বংসকারীরা বিভিন্ন অজুহাতে এ বনকে ধ্বংস করেছ। সকলের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এই জাতীয় ঐতিহ্য সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে।
ফাহমিদা নাজনিন তিতলী বলেন, সুন্দরবনের অস্তিত্ব নিয়ে আর কোন গড়িমসি চলবে না, ভবিষ্যতে যেনো উন্নয়নের নামে কোন ধরনের প্রকল্প এই ফুসফুস কে আঘাত না করে, এটাই দাবী বর্তমান উপদেষ্টার কাছে।
স্বপন মাহমুদ বলেন, সুন্দরবন কেবল গাছগাছালির বন নয়, এটি আমাদের অস্তিত্বের রক্ষাকবচ, আমাদের ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা। আজ এই সুন্দরবন দিবসের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সুন্দরবন বিনষ্টকারী সকল প্রকার কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
নুশরাত ইমরোজ তিষা বলেন, সুন্দরবন রক্ষায় আমাদের সচেতনতা এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু বাংলাদেশের পরিবেশের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বের জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সুন্দরবন বাঁচলে আমরা বাঁচবো এই উপলব্ধি থেকে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক আশিকুর রহমান জিম বলেন, আজকে সুন্দরবন দিবস অথচ তরুণ প্রজন্ম এ বিষয়ে কিছুই জানে না। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠনগুলো শুধু নিজেদের ও নিজ দলের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করেছে। দেশের ফুসফুস সুন্দরবন রক্ষায় কোন ধরণের ভূমিকা পালন করেনি। ২০১৮ সালের পরে বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা ভারতে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে অথচা বংলাদেশে বাড়েনি। কেন বাড়েনি এবিষয়েও কোন গবেষণা সরকারিভাবে করা হয়েছি কি? সুন্দরবনে নতুন ৩২৬টি কারখানা স্থাপন বাস্তবায়ন হলে সুন্দরবন পুরোপুরিভাবে ধংসের দিকে যাবে বলে তিনি মনে করেন।
সুন্দরবন দিবসে আজ আমাদের দাবীসমূহ:
▪️সুন্দরবন বিনাশী গৃহীত সকল প্রকল্প বন্ধ করতে হবে
▪️সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী বা অভ্যন্তরের নির্মাণাধীন ও পরিকল্পিত সরকারী-বেসরকারী সব প্রকল্প ও স্থাপনা নির্মাণ অবিলম্বে বন্ধ ও অপসারণ করতে হবে
▪️বনের পাশ ঘেঁষে বরাদ্দকৃত সকল শিল্প ও আবাসন প্লট বন্ধ করতে হবে
▪️অপরিকল্পিত গাছকাটা, পশু-পাখী হত্যা ও মাছ ধরা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, বনের গাছে অগ্নি সংযোগ এবং বিষ প্রয়োগে জলজ প্রাণী ও মাছ হত্যা কঠোর হস্তে দমন করতে হবে
▪️সুন্দরবনের সকল পোল্ডার অপসারণ করতে হবে
সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন -মনোবিজ্ঞানী ও সোনার তরীর প্রতিষ্ঠাতা ফারজানা ফাতেমা রুমি এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর- এর মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব শেখ মাজেদুল হক স্যার। এ ছাড়াও সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন গ্রীন ভয়েস কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক ফাহমিদা নাজনীন, গ্রীন ভয়েস কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য সোহানুর রহমান সোহান, গ্রীন ভয়েস কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য স্বপন মাহমুদ, বহ্নিশিখার রংপুর জেলা সমন্বয়ক সুরাইয়া আক্তার, গ্রীন ভয়েস-বেরোবি শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী এবং সেমিনারটি সভাপতিত্ব করেন গ্রীন ভয়েস-বেরোবি শাখার সভাপতি মোঃ শাওন মিয়া ।
প্রায় ৩ ঘন্টাব্যাপী এ সেমিনার অনুষ্ঠিত সেমিনারে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিবেশ সচেতনতামূলক বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি কিভাবে পরিবেশবান্ধব ব্যবসা এবং মনোভাব তৈরি করা যায় এসব নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বাংলা ভাষা আন্দোলন ছিল ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব বাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশে) সংঘটিত একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন। মৌলিক অধিকার রক্ষাকল্পে বাংলা ভাষাকে ঘিরে সৃষ্ট এ আন্দোলনের মাধ্যমে তদানীন্তন পাকিস্তান অধিরাজ্যের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণদাবির বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
আজ গ্রীন ভয়েস, দিনাজপুর সরকারি কলেজ শাখা কর্তৃক পাঠচক্রে আলোচনার বিষয় ছিল ভাষা আন্দোলন।
আলোচক: সানজিদা শান্তা
উপস্থাপনা: সায়মা স্বর্ণা
বহ্নিশিখা (গ্রীন ভয়েস এর নারী ও শিশু অধিকার বিষয়ক অঙ্গসংগঠন)। লালমনিরহাট সরকারি কলেজ শাখার বহ্নিশিখা নিয়ে আজকে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং ইফতারের আয়োজন করা হয়। বহ্নিদের কর্ম পরিধি বৃদ্ধির জন্য আয়োজিত আজকের ইফতারে উপস্থিত ছিলেন গ্রীন ভয়েস কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রেদোয়ান হোসেন রাঙ্গা,গ্রীন ভয়েস লালমনিরহাট জেলা শাখার সভাপতি শহীদুল ইসলাম সোহেল সহ বহ্নিশিখার সদস্যরা।
গ্রীন ভয়েস, হাতীবান্ধা উপজেলা শাখার উদ্যোগে বন্যায় পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে শুকনো খাদ্য সামগ্রী প্রদান।
স্থানঃ গড্ডিমারী বটতলা, হাতিবান্ধা, লালমনিরহাট।