আজ দিনভর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম সহনশীল পর্যায়ে রাখতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে বাজারে সচেতনতা অভিযান সম্পূর্ণ করে গ্রীন কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখা।
জেলার পৌর বাজারের বিভিন্ন মুদি দোকান থেকে শুরু করে কাঁচামালের আড়ৎ, মাংসের আড়ৎ, ডিমের আড়ৎ, চালের আড়ৎ, মাছের আড়তে ব্যবসায়ীদের দাম নিয়ন্ত্রণের রাখবার জন্য আহ্বান জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যাচাই করে কিছু কিছু জায়গায় বিচ্যুতির প্রমাণ পেয়ে ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করেন।
বাজার যাচাই শেষে শিক্ষার্থীরা জেলার সদর হাসপাতাল পর্যবেক্ষণে যান। সেখানে শৃঙ্খলার অবনতি দেখে প্রথমে হাসপাতালের আরএমও ডা: মো: শাহীনুর রহমান সরদারের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরবর্তীতে ৮ দফা সংস্কারের ছক নিয়ে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা: মো: শহিদুল্লাহর সাথে সমঝোতামূলক আলাপ করেন শিক্ষার্থীরা। এই ৮ বিষয়গুলো ছিল -
১. সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারদের কর্মঘন্টা হলো সকাল আটটা থেকে দুপুর আড়াইটা। ঠিক এই সময়মতো সকল ডাক্তারের উপস্থিতি নিশ্চিত করা।
২. হাসপাতালের সরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের (যেখানে সরকারি খরচে সকল টেস্ট করা হয়) সক্রিয়তা বৃদ্ধি করা এবং এই সেন্টার চালু রাখার সময়সীমা বৃদ্ধি করা।
৩. আবাসিক রোগীদের পরিদর্শনের ক্ষেত্রে মেডিকেল অফিসারদের সঠিক সময় মেনে চলা, দুবারের মেডিকেল অফিসারের পরিদর্শন সুনিশ্চিত করা এবং রোগীদের প্রতি তদারকি বাড়ানো।
৪. হাসপাতাল প্রাঙ্গণে দালালের দৌরাত্ম কমাতে কার্যত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৫. রোগীদের ঔষধ সরবরাহ সুনিশ্চিত করা।
৬. পুরো হাসপাতালে সকল ধরনের পরিছন্নতার পরিবেশ সুনিশ্চিত করা।
৭. আবাসিক রোগীদের জন্য খাবারের মান উন্নত করা।
৮. তুলনামূলক দুর্বল প্রকৃতির রোগীদের সাথে নার্সদের অসদাচরণ বন্ধ করা।
সেসময় হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক উল্লেখিত এই ৮টি বিষয়ের সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করবার আশ্বাস প্রদান করেন শিক্ষার্থীদেরকে। পরে শিক্ষার্থীরা বহির্বিভাগের রোগীদের মাঝে সুশৃংখলতা বজায় রাখার জন্যেও আহ্বান জানান।
Comment